সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের মৃত উমর আলীর পুত্র তেরা মিয়া (৪৯) পরিবারের অভাব দূর করার জন্য ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া জান( সমুদ্র পথে) মালয়েশিয়া দুই বছর চুরি করে বিভিন্ন স্থানে কাজ করলেও বৈধ হওয়ার জন্য বিভিন্ন দালালের কাছে টাকা দিলেও বৈধ হতে পারেননি তিনি। করোনা মহামারী মধ্যে ভিসা না থাকায় কোথাও কাজ মিলাতে না পারায় অনেক দিন বেকার হয়ে থাকতে হয়। বেকারত্ব ও দেশের ঋণ পরিষোধ করতে না পারায় দিনে দিনে
দূরচিন্তা করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তেরা মিয়া।
চলিত বছরের অগাস্ট মাসে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তেরা মিয়া কে, তবে হাসপাতালে চিকিৎসার বিল মেটানোর টাকা ছিলো না তার কাছে।

প্রায় দুই মাস চিকিৎসা নেওয়ার পরে দায়িত্ব রত ডাক্তারা বলেন তার কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছে অপারেশন করতে হবে । অপারেশন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের থেকে কোন সহায়তা না পাওয়া একটি ইসলামিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেন হাসপাতালে কতৃপক্ষ।
সংস্থা যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লব অব মালয়েশিয়ার সভাপতি মনির বিন আমজাদের সঙ্গে।
মানবিক এই প্রবাসী কমিউনিটি নেতা তেরা মিয়ার হাসপাতালে খোঁজ খরব নেন।

তেরা মিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্তা করতে চাইলে তেরা মিয়া দেশে ফিরতে চান পরিবারের কাছে। মনির বিন আমজাদের অর্থিক সহযোগিতা ও বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর (২)হেদায়েতুল মন্ডলের সহায়তা ট্রাবল পাস ইস্যু করেন।

শেষ পরিনতি ভাগ্য পরিবর্তনের বিপরীতে শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে তেরা মিয়ার। আগামী রবিবার উই এস বাংলা বিমান করে দেশে ফিরবেন তেরা মিয়া।